সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

জেনে নিন বিমানবালাদের সম্পর্কে

নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে, ব্যাগেজ চেকিং সম্পন্ন করে এবং কাস্টমার সেরা গ্রহণের পর বিমানে ওঠার সুযোগ মেলে। বিমানে ওঠার পর যাত্রীদের দেখভালের দায়িত্ব পালনে আছেন এক দল ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট। অনেকেই বিমানবালাদের আসল কাজ সম্পর্কে কোনো ধারণা রাখেন না। তাদের অনেক কাজই করতে হয় যার সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানে না মানুষ। এখানে জেনে নিন এয়ার হোস্টেজ সম্পর্কে ১৪টি তথ্য। এ নিয়ে  লিখেছেন সাবেক এয়ার হোস্টেজ অ্যালেক্স বেভান।
১. বিমানে তারা কেবল যাত্রীদের স্ন্যাক্স এবং পানীয় পরিবেশনের কাজ করেন না। অধিকাংশ যাত্রী তাদের আকাশের ওয়েট্রেস বলে গণ্য করেন। যদিও এটি কাজের একটি অংশমাত্র। তারা যাত্রীদের নানা সেবায় নিয়োজিত। তারা আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। অসুস্থ, মাতাল থেকে শুরু করে অনেক মানুষকে নিরাপদে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া দায়িত্বের অন্যতম অংশ।

২. তাদের চলাফেরা, কথা-বার্তা ও সেবাপ্রদান কঠোর নীতিমালায় নিয়ন্ত্রিত। তাদের উপস্থিতি এতটাই গোছালো ও সুন্দর যে, আপনি তাকে আপন ও নির্ভরযোগ্য বলে মনে করবেন। চুলের ফ্যাশন, মেকআপ ইত্যাদিও তাদের বিশেষভাবে ও বিশেষ যত্নে প্রস্তুত করতে হয়।
৩. কেবলমাত্র পোশাক ও মেকআপেই তাদের নীতিমালা সীমাবদ্ধ নয়। ওয়ার হোস্টেজদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। তাদের প্রতিনিয়ত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হয় এবং সেবাপ্রদান করতে হয়। তাই দৈহিক ফিটনেসের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

৪. আপনার জীবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তায়। এদের প্রত্যেকেই মাটি থেকে ৩৫ হাজার ফুট ওপরে তিন শতাধিক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকেন। এ বিশাল দায়িত্ব অন্য কেউ কোনদিন অনুভব করতে পারবেন না।
৫. এমনকি বিমানে গর্ভবতী মায়ের সন্তান জন্মদানের প্রশিক্ষণও তাদের দেওয়া হয়। চিকিৎসার প্রয়োজনীয় অংশ সম্পর্কে বেশ জ্ঞান রাখেন তারা। বিমানের যাত্রী যেকোনো স্বাস্থ্যগত হুমকি মোকাবেলায় তারা বেশ পারদর্শী।

৬. আত্মরক্ষা বা বিপদজনক যাত্রীর হাত থেকে অন্যদের নিরাপদ রাথকে তাদের মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণও নেওয়া হয়। বিমান ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা মাথায় রেখে তাদের অনেককেই উচ্চমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
৭. চরমভাবাপন্ন পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার কৌশল জানের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা। ১৯৭২ সালে আন্দেজ পর্বতে বিমান ক্রাশ করার পরের ইতিহাস যাদের জানা রয়েছে, তারা এ তথ্যটাও জানেন। বরফে ঢেকে থাকা চরমভাবাপন্ন পরিবেশে তারাই যাত্রীদের রক্ষা করেছিলেন।

৮. মাটি থেকে ৩৫ হাজার ফুট ওপরে আগুনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারেন তারা। কেবিন বা যেকোনো স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতেই পারে। বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড সামাল দেওয়ার মতো ট্রেনিং রয়েছে তাদের।
৯. তাদের যদি 'মাইল হাই ক্লাব'-এর সদস্য বলে মনে করেন, তবে দারুণ ভুল করেছেন। বিমানে তারা আপনার খেয়াল রাখেন। তারা যাত্রীদের মনোরঞ্জন করতে আসেন না।

১০. বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের অসংখ্য ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট থাকেন। এমনও হতে পারে একটি বিমানে কয়েকজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট প্রথমবারের মতো একসঙ্গে চড়তে পারেন। নতুন পরিচয়, বন্ধুত্ব এবং কাজ শেষে বিদায়ের ঘটনা বহুবার ঘটে।
১১. একই ইউনিফর্ম ও একই ফ্যাশনে সবাইকে এক মনে হয়। কিন্তু এরা বিভিন্ন দেশ, জাতি, ধর্ম ও গোত্র থেকে এসেছেন। এদের একেক জনের জীবনে একেক ইতিহাস রয়েছে। অনেকই দূরের কোনো দেশ থেকে এসে এখানে দায়িত্ব পালন করছেন। মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেকে এখন এ পেশায় আসছেন। যুদ্ধাবস্থা, দারিদ্রতা, চাকরির অভাব ইত্যাদি অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছেন অনেকে।

১২. বহু দূরের যাত্রায় ভৌগলিক সময়ের পরিবর্তনে মানুষের ঘুমের সমস্যা হয়। এ ছাড়া ক্লান্তিসহ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়। এ সমস্যাকে জেটল্যাগ বলা হয়। দেহঘড়ি ঠিক রাখতে তারা দিনের বেলা কেবিনের আলো কমিয়ে আনেন বা অন্যান্য কাজ করেন যাত্রীদের সুস্থাতার জন্যে। তারাও কিন্তু এ অবস্থার শিকার হন। কিন্তু তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। অনেক সময়ই তারা সময়ের পরিবর্তন সামলানে আগে বা পরে ঘুমিয়ে নেন।

১৩. ফ্লাইট টেক অফ করার আগে হয়তো এদের কাউকে গেটে দেখতে পাবেন। আবার তাকে পরে বিমানের মধ্যেই দেখবেন। তাই অনেক সময় তারা টিকেটিং এজেন্টের দ্বিগুন কাজ করে থাকেন। তবে বিমানে ওঠার পর রাজত্ব তাদের।
১৪. প্রত্যেক এয়া হোস্টেজ যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রস্তুত থাকেন। বেশি বেশি খাবার, দ্বিগুন পানীয় দেওয়ার চেষ্টা করেন। যাত্রীদের সুষ্ঠু সেবা প্রদান তাদের মনে সত্যিকার অর্থেই তৃপ্তি এনে দেয়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আপনি জানেন কি

বিভিন্ন চাকুরির পরীক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক হচ্ছে বিভিন্নদেশে পার্লামেন্টের নাম। এই টপিক থেকে বিসিএস থেকে শুরু করে ব্যাংক, প্রাইমারি স্কুল টিচার, সহকারি জন, এটিও ইত্যাদি পরিক্ষায় নিয়মিত প্রশ্ন এসে থাকে। তাহলে আর দেরি না করে আজই এগুলো শিখে ফেলুন। 1. চীনের আইন সভার নাম – কংগ্রেস। 2. ইসরাইলের আইন সভার নাম – নেসেট। 3. জাপানের আইন সভার নাস – ডায়েট। 4. বাংলাদেশের আইন নাম- জাতীয় সংসদ। 5. সুইডেনের আইন সভারনাম – রিক্সড্যাগ। 6. মঙ্গোলিয়ার আইন সভার নাম – থুরাল। 7. আফগানিস্তানের আইন সভার নাম – শূরা। 8. ডেনমার্কের আইন সভার নাম – ফোকেট। 9. ভারতের আইনি সভার নাম – লোকসভা বা রাজ্যসভা। 10. তাই্ওয়ানের আইন সভার নাম – উয়ান। 11. যুক্তরাজ্যের আইন সভার নাম – পার্লামেন্ট। 12. নেপালের আইন সভঅর না্স – কংগ্রেস বা পঞ্চায়েত। 13. মালয়েশিয়ার আইন সভার নাম – মজলিস। 14. রাশিয়ার আইন সভার নাম – সুপ্রিম সোভিয়েত অ্যাসেম্বলি। 15. স্পেনের আইন সভার নাম – ক্রেটস। 16. তুরস্কের আইন সভারনাম – গ্রান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি। 17. ইরানের আইন সভঅর নাস – মজলিস। 18. আয়ারল্যান্ডের আইন সভার নাম – ডেল আয়ারম্যূা

দেখে নিন কে কিসের জনক

☞ ইন্টারনেটের জনক - ভিন্টন গ্রে কার্ফ। তথ্য রকি বাবু অক্টোবর ২০১৭  ☞ ই মেইলের জনক - র্যায়মন্ড স্যামুয়েল টমলিনসন। ☞ মাইক্রোসফটের জনক - বিল গেটস। ☞ www-এর জনক - টিম বার্নাস লি। ☞ মোবাইল ফোনের জনক - মার্টিন কুপার। ☞ গুগলের জনক - সার্জেই বিন। ☞ ফেসবুকের জনক - মার্ক জুকারবার্গ। ☞ টুইটারের জনক - জ্যাক ডোরসেই। ☞ ই বুকের জনক - মাইকেল এস হার্ট। ☞ সিডি এর জনক - নোরি ও ওগো। ☞ কম্পিউটার মাউসের জনক – ডগলাস এঙ্গেলবার্ট। ☞ আধুনিক ল্যাপটপের জনক - বাল মেগারিজ। ☞ সার্চ ইঞ্জিনের জনক - এলান এমটাজ। ☞ ডিজিটাল ক্যামেরার জনক – স্টিভেন জে সিসোন। ☞ ATM-এর জনক - জন শেফার্ড ব্যারন। ☞ উইকিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা - জিমি ওয়েলস।     #   ফেসবুক এর জনক?→ মার্ক জুকারবার্গ ♥  আর রকি বাবু কিসের জনক হয়তো আপনার তা জানেন,,, 

অজানা তথ্যগুলোকে সহজেই জেনে নেই।

১। প্রশ্নঃ বিশ্বে ইন্টারনের চালু হয় কখন ? উত্তরঃ ১৯৬৯ সালে। ২। প্রশ্নঃ বাংলাদেশে ইন্টারনের চালু হয় কখন ? উত্তরঃ ১৯৯৬ সালে। ৩। প্রশ্নঃ ইন্টারনেটের জনক কে ? উত্তরঃ ভিনটন জি কার্ফ । ৪। প্রশ্নঃ WWW এর অর্থ কি ? উত্তরঃ World Wide Web. ৫। প্রশ্নঃ WWW এর জনক কে ? উত্তরঃ টিম বার্নাস লি । ৬। প্রশ্নঃ ই-মেইল এর জনক কে ? উত্তরঃ রে টমলি সন। ৭। প্রশ্নঃ ইন্টারনেট সার্চইঞ্জিনের জনক কে? উত্তরঃ এলান এমটাজ । রকি বাবুু সময়ে একধাপ এগিয়ে ৮। প্রশ্নঃ Internet Corporation For Assiged Names And Number – ICANN এর প্রতিষ্টা কবে? উত্তরঃ ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮ সালে ( সদর দপ্তর ক্যালিফোর্নিয় ) ৯। প্রশ্নঃ ইন্টারনেট জগতের প্রথম ডোমেইনের নাম কি ? উত্তরঃ ডট কম । ১০। প্রশ্নঃ কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্টান সিম্বোলিকস ইন্টারনেট জগতের প্রথম ডোমেইন ডট কম রেজিস্ট্রেশন করে কবে ? উত্তরঃ ১৫ মার্চ ১৯৮৫ সালে । ১১। প্রশ্নঃ ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী শীর্ষদেশ কোনটি ? উত্তরঃ প্রথম-চীন, দ্বিতীয় যুক্তরাষ্ট্র ১২। প্রশ্নঃ বহু জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার ( Web Browser ) কি কি? উত্তরঃ Opera, Mozilla, Internet Explorer, Rock Melt, Google Chromr. ১৩। প