ভবিষ্যতের মেডিকেল খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব প্রতিদিনকার এই বাজে অভ্যাসগুলো ত্যাগ করলেই।
ছোট ছোট কিছু আচরণ ‘বদঅভ্যাস’ ছাড়া কিছুই না, এ কথা ছোটবেলা থেকে বহুবার শুনে আসার পরেও তার ব্যাপারে সচেতন হয়ে ওঠা হয় না কখনোই। এর ফলেই এক সময় গুনতে হয় বড় বড় মেডিকেল বিল। এমন অবস্থায় না পড়তে আজই চর্চা করুন এই বাজে অভ্যাসগুলো বাদ দেয়ার-
দাঁত দিয়ে নখ কাটা
কোন কাজ নেই, কারও জন্য অপেক্ষা করছেন, কোন কারণে খুব বিরক্ত হচ্ছেন, অথবা, কোন ঘটনায় নার্ভাস বোধ করছেন- নানা ছুতায় বসে বসে দাঁত দিয়ে নখ কেটে নেয়ার অভ্যাস অনেক লোকেরই আছে। আর এই এক অভ্যাসের কারণেই বাইরের বাতাসে ঘুরে বেড়ানো আর নখে আটকে থাকা বিচ্ছিরি সব রোগ-জীবাণু অবশেষে মুখ হয়ে ঢুকছে সেই ব্যক্তির শরীরে। এমনটি না হতে দেয়াই ভালো।
সবসময় চুইংগাম চিবানো
চুইংগাম চিবিয়ে বেশ কিছু সুবিধা হয় তো আপনি পেয়ে থাকেন, চোয়ালের ব্যয়ামও হয় এতে। কিন্তু আপনি যদি সারাক্ষণই এটি চিবানোর অভ্যাস করে ফেলেন, তবে চোয়াল ব্যথা থেকে শুরু করে এতে নানা ধরণের রোগও বেঁধে যেতে পারে। আর চুইংগাম ফোলানোর অভ্যাসও অনেকের থাকে। এর ফলে যে বাতাস ঘন ঘন পেটে যাচ্ছে, সেটিও তৈরি করে দিতে পারে পাকস্থলির সমস্যা।
ভারী ব্যাগ এক কাঁধে নেয়া
ব্যাগ ভর্তি বই-খাতা বা ভারী বস্তু নিয়ে তা এক কাঁধে ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় অনেককে। আর কিছুদিন পরপর তাদের কাঁধ বা পিঠের ব্যথায় কুঁকড়ে বেড়ানোর দৃশ্যও কম দেখা যায় না। এমন ভাবে ব্যাগ নিলে স্পষ্টতই তা চাপ তোইরি করে কাঁধ ও এর ভারসাম্যের ওপর। এটি পরবর্তী সময়ে কাঁধ, হাত বা মেরুদন্ডের জন্য বয়ে আনতে পারে ভোগান্তি।
ভুল জুতা পায়ে দেয়া
বিশেষ করে নারীদের মধ্যে অস্বস্তিকর জুতা পায়ে দেয়ার সমস্যাটা প্রকট। কেউ যদি এই ভুলটি করে থাকেন, তাহলে জেনে রাখুন, পায়ের জন্য অস্বস্তিকর বা উঁচু হিলের জুতা পায়ের গোড়ালি থেকে শুরু করে পুরো শরীরের জন্যই ক্ষতিকর। অনেকদিন ধরে এমন জুতা পরলে তা পিঠের নিচের অংশ আর কোমরের হাড়ের মারাত্মক ক্ষতি করে।
আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে? তাহলে শেয়ার করুন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন